ঢাকা
,
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
৪ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কার্গো ভিলেজের আগুন
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের সূচনা : প্রধান উপদেষ্টা
মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কাজ হারাবেন ২ লক্ষাধিক জেলে
আমরা ফিলিস্তিন টাইম জোনে ঢুকেছি: শেষ জাহাজ আটকের আগে ভিডিও বার্তায় শহিদুল
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৬০
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট
প্রতিশোধ নিলে আমার ওপর নিন, কর্মীদের ছুঁবেন না’ : থালাপতি বিজয়
প্যারিস ফ্যাশন উইকে আলোচনায় ঐশ্বরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি দপ্তরে শাটডাউন, ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে লাখো কর্মী
টাঙ্গাইলে ৫৮ কোটি টাকার হলুদ বিক্রির সম্ভাবনা
-
ডেস্ক রিপোর্ট - আপডেট সময় ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- ১৬ বার পড়া হয়েছে
হলুদ চাষে সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হলুদ চাষে লাভবান হবেন তারা। হলুদ চাষ অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক। অল্প জমিতে কম খরচে বেশি হলুদ চাষ করা যায়। পাহাড়ি এলাকায় সাথী ফসল হিসেবে হলুদের চাষ হয়। তবে এ বছর মধুপুরে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার হলুদ বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।
কৃষকেরা বলেন, হলুদে গরু, ছাগল ও পোকামাকড়ের কোনো উপদ্রব নেই। ফসলহানির আশঙ্কাও কম। পরিত্যক্ত জমিতে হলুদের চাষ ভালো হয়। বাজারে মসলাজাতীয় পণ্য হলুদের চাহিদা অনেক। দামও অন্য ফসলের চেয়ে ভালো। এ কারণে ঘাটাইল, মধুপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় হলুদের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।
জেলা কৃষি অফিস জানায়, জেলার ১২টি উপজেলায় ৩ হাজার ২০৮ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫, বাসাইলে ২০, কালিহাতীতে ৩০, ঘাটাইলে ১ হাজার ৪৫৬, নাগরপুরে ৫০, মির্জাপুরে ১২৫, মধুপুরে ৯৮০, ভূঞাপুরে ১৫, গোপালপুরে ৩৭, সখীপুরে ৩৫০, দেলদুয়ারে ৮০ ও ধনবকাড়ী উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ করা হয়েছে।
উর্বরতা ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি হলুদ চাষের জন্য ভালো। সবচেয়ে উত্তম দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ লাল মাটি। জেলার ঘাটাইল, মধুপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ লাল মাটি বেশি। ফলে জেলার ওই তিন উপজেলায় মসলাজাতীয় পণ্য হলুদের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
হলুদের স্থানীয় জাতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হরিণপালি, আদাগতি, মহিষবাট, পাটনাই, আড়ানী ইত্যাদি। তবে উচ্চফলনশীল ডিমলা ও সিন্দুরী নামে দুটি জাতের হলুদ আছে। ডিমলা জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় ৩ গুণ এবং সিন্দুরী জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় ২ গুণ ফলন বেশি দেয়। দুটি জাতই লিফ ব্লাইট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বারি হলুদ-৩, বারি হলুদ-৪, বারি হলুদ-৫ জাতের হলুদ চাষ করে কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।
কৃষিবিদরা বলেন, হলুদকে অনেক সময় ‘মিরাকল হার্ব’ বা অলৌকিক ভেষজ বলা হয়। হলুদ আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি মসলা। হলুদে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। এতে কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে, যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচায়। মসলা হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও অনেক ধরনের প্রসাধনীর কাজে ও রং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ















