ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Newbd24.com

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবতবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিভাবে অভিযোগপত্র গঠন হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন। একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক পদে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকারও অযোগ্য হবেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এ সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। ‘নতুন সংযোজন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচিত পদে প্রার্থী বা বহাল থাকার যোগ্য থাকবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও যোগ্যতা হারাবেন।’ সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “সংস্কার নিয়ে ১১টা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাকি তিনটা কমিশনের ৩৬৭টি পরামর্শ নিয়ে কাজ হচ্ছে।” প্রেস সচিব বলেন, “সংস্কার কমিশনের পরামর্শগুলোর মধ্যে ৫০টি বাস্তবায়ন হয়েছে। ৩৭টি আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২৮০টির মতো নিয়ে কাজ চলছে। এর বাইরেও উপদেষ্টারা দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের অনেক বিষয়ে সংস্কারের কাজ করেছেন। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না

আপডেট সময় ০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবতবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিভাবে অভিযোগপত্র গঠন হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন। একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক পদে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকারও অযোগ্য হবেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এ সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। ‘নতুন সংযোজন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচিত পদে প্রার্থী বা বহাল থাকার যোগ্য থাকবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও যোগ্যতা হারাবেন।’ সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “সংস্কার নিয়ে ১১টা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাকি তিনটা কমিশনের ৩৬৭টি পরামর্শ নিয়ে কাজ হচ্ছে।” প্রেস সচিব বলেন, “সংস্কার কমিশনের পরামর্শগুলোর মধ্যে ৫০টি বাস্তবায়ন হয়েছে। ৩৭টি আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২৮০টির মতো নিয়ে কাজ চলছে। এর বাইরেও উপদেষ্টারা দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের অনেক বিষয়ে সংস্কারের কাজ করেছেন। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ।”